এস এম রাকিব জেলা প্রতিনিধি:বগুড়া জামালপুর মাদারগঞ্জ ফেরিঘাট চালু খুশি দুই পাড়ের মানুষ,নদী পথে যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ করতে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চালু হচ্ছে বগুড়া-জামালপুর নৌ-রুট। এতে নদী পাড়ের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। অনেক জলপুনা কল্পনার পর প্রায় দুই যুগ পর বৃহস্পতিবার (১২ই আগস্ট) থেকে আবারও বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও জামালপুরের মাদারগঞ্জের নৌযান চালু করছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়। বগুড়া ও জামালপুরের দুই উপজেলার মধ্যে প্রায় ১৬ কিলোমিটার নৌপথ পারাপার সহজ হলে রাজধানী ঢাকা সাথে দূরত্ব কমবে এ অঞ্চলের মানুষের অন্তত ৮৫ কিলোমিটারের বেশি পথ। গততে সিরাজগঞ্জ-টাঙ্গাইলের সাথে ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ নৌ-রুট বন্ধ হয়ে যায়। তবে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় প্রতিদিনই মানুষ যাতায়াত করলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতারও সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন পারাপার হয়ে উঠে অনেক কষ্টের।
নৌ ঘাটের মাঝিরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন এ রুট দিয়ে অন্তত ২ হাজারের বেশি যাত্রী পারাপার হয়। কৃষি পণ্যের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক গবাদি পশুও আনা নেয়া করা হয় ওই নৌ-রুটে। দীর্ঘ দিন পর কম খরচে যাত্রী পারাপার ও পণ্য-আনা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় খুশি দুই এলাকার মানুষ। বগুড়ার সারিয়াকান্দির পাকেরদহ এলাকার মৃত রশিদ আকন্দের ছেলে মো: আফিল (৫৫) জানিয়েছেন, “এখন সবার চলাচল সহজ হবে। বিভিন্ন মালামাল ছাড়াও মানুষ নিরাপদে পারাপার হতে পারবে। ফেরি চালু হবে এমন আশা ছিল বহু দিনের। সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান জানিয়েছেন, সারিয়াকান্দি কালীতলা থেকে মাদারগঞ্জ সংলগ্ন জামথল চর পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে সী ট্রাকে যাত্রী যাওয়া আসা করলেও ভবিষ্যতে এ রুট নিয়ে আরও পরিকল্পনার রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এখন শুধু মানুষের চলাচল সহজ করতে এ ব্যবস্থা। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাসেল মিয়া জানিয়েছেন, এ নৌরুট চালু হবার ফলে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। পাশাপাশি কৃষিজীবিরাও উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য যা খরচ হয় তার কয়েকগুন কম টাকা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে দুই পাড়ের মানুষ। এখন প্রতিজন যাত্রীর যাওয়া বা আসা বাবদ ব্যয় হয় কমপক্ষে ২শ টাকা। আর ফেরি চালু হলে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে চলাচল করা যাবে বলে ধারণা করছেন এলাকার মানুষ